মাদারীপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ডিপ্লোমা শেষ করে চাকরি না পেয়ে কৃষি কাজে নেমে পড়েন সোহেল। অল্প সময়ে নানা জাতের সবজি চাষে সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
চলতি শীত মৌসুমে তিনি তিন হাজার টাকায় ৩০ শতক জমি লিজ নিয়ে এবং নিজের ৫০ শতক জমিসহ মোট ৮০ শতক জমিতে আগাম সবজি আবাদ করেছেন। তার জমিতে রয়েছে হাইব্রিড জাতের ঢেঁড়স, লাল শাক, পালং শাক, লাউ ও পুঁই শাক।
অক্টোবরের শুরুতে বাজারে সবজির যখন চরম অভাব ছিল সে সময় লাউয়ের কচি পাতা ও পুই শাক বিক্রি করে দেড় মাসে খরচ বাদে প্রায় ৩০ হাজার টাকা আয় করেন সোহেল।
সম্প্রতি তার খেতে গিয়ে দেখা যায়, মাচায় গাছের ডগায় অসংখ্য কচি লাউ দুলছে।
সোহেল জানান, বাজারে লাউ ও লাউয়ের পাতার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রতিটি লাউ প্রকারভেদে ৬০-৭০ টাকা ও লাউ পাতার মুটি ১০ টাকা করে বিক্রি করে প্রায় ২৫ হাজার টাকা আয় করেছেন তিনি। পাশাপাশি পুঁই শাকও ১৫ হাজার টাকার বিক্রি হয়েছে। ইতোমধ্য প্রায় ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন লাল শাক বিক্রি করে।
তিনি বলেন, ‘চলতি সপ্তাহ থেকে পালং শাক বাজারে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। দাম ভালো পাওয়া গেলে ১০ শতাংশ জমিতে পালং শাক বিক্রি করে খরচ বাদে ২০ হাজার টাকা লাভ করা যাবে।’
বর্তমান তার ৫ শতাংশ জমিতে শীতকালীন হাইব্রিড ঢেঁড়স গাছ রয়েছে। এছাড়া, বেগুন ও টমেটোসহ অন্যান্য সবজি বীজ রোপন করে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
একজন আদর্শ চাষি হিসেবে কৃষি অফিস থেকে অনেক সময় সার ও বীজ পান তিনি।
রাস্তি ইউনিয়নের ব্লক সুপারভাইজার ইয়াসমীন বলেন, ‘সোহেল একজন আদর্শ সবজি চাষি। তাকে সব মৌসুমে সার ও সবজি বীজ প্রদান করা হয়।’